তুমি যখন দেখ, তাহারা আমার আয়াতসমূহ সম্বন্ধে উপহাসমূলক আলোচনায় মগ্ন হয় তখন তুমি তাহাদের হইতে সরিয়া পড়িবে, যে পর্যন্ত না তাহারা অন্য প্রসঙ্গে প্রবৃত্ত হয় এবং শয়তান যদি তোমাকে ভ্রমে ফেলে তবে স্মরণ হওয়ার পরে জালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসিবে না। (৬:৬৮)
সাবধান! ইহারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু ইহারা বুঝিতে পারে না। (২:১২)
যখন তাহাদেরকে বলা হয়, যে সকল লোক ঈমান আনিয়াছে তোমরাও তাহাদের মত ঈমান আনয়ন কর, তাহারা বলে, ‘নির্বোধগণ যেরূপ ঈমান আনিয়াছে আমরাও কি সেইরূপ ঈমান আনিব? সাবধান! ইহারাই নির্বোধ, কিন্তু ইহারা জানে না। (২:১৩)
যখন তাহারা মু’মিনগণের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’; আর যখন তাহারা নিভৃতে তাহাদের শয়তানদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই রহিয়াছি; আমরা শুধু তাহাদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করিয়া থাকি।’ (২:১৪)
আল্লাহ্ তাহাদের সঙ্গে তামাশা করেন এবং তাহাদেরকে তাহাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইবার অবকাশ দেন। (২:১৫)
ইহারাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রান্তি ক্রয় করিয়াছে। সুতরাং তাহাদের ব্যবসা লাভজনক হয় নাই, তাহারা সৎ পথেও পরিচালিত নহে। (২:১৬)
তাহাদের উপমা: যেমন এক ব্যক্তি অগ্নি প্রজ্বলিত করিল; উহা যখন তাহার চতুর্দিক আলোকিত করিল আল্লাহ্ তখন তাহাদের জ্যোতি অপসারিত করিলেন এবং তাহাদেরকে ঘোর অন্ধকারে ফেলিয়া দিলেন, তাহারা কিছুই দেখিতে পায় না- (২:১৭)
তাহারা বধির, মূক, অন্ধ, সুতরাং তাহারা ফিরিবে না। (২:১৮)
কিংবা যেমন আকাশের বর্ষণমুখর ঘন মেঘ-যাহাতে রহিয়াছে ঘোর অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ-চমক। বজ্রধ্বনিতে মৃত্যুভয়ে তাহারা তাহাদের কর্ণে অঙ্গুলি প্রবেশ করায়। আল্লাহ্ কাফিরদের পরিবেষ্টন করিয়া রহিয়াছেন। (২:১৯)
‘যাহারা তাহাদের দীনকে ক্রীড়া-কৌতুকরূপে গ্রহণ করিয়াছিল এবং পার্থিব জীবন যাহাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল।’ সুতরাং আজ আমি তাহাদেরকে বিস্মৃত হইব, যেভাবে তাহারা তাহাদের এই দিনের সাক্ষাতকে ভুলিয়া গিয়াছিল এবং যেভাবে তাহারা আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করিয়াছিল। (৭:৫১)
সে উহাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসিবামাত্র উহারা তাহা লইয়া হাসি-ঠাট্টা করিতে লাগিল। (৪৩:৪৭)
আমি উহাদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাই নাই যাহা উহার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয়। আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে। (৪৩:৪৮)