আমি তোমাকে সত্যসহ শুভ সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। জাহান্নামীদের সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হইবে না। (২:১১৯)
সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে প্রেরিত। সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (২:১৪৭)
ইহা এইহেতু যে, আল্লাহ্ সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং যাহারা কিতাব সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করিয়াছে, নিশ্চয় তাহারা দুস্তর মতভেদে রহিয়াছে। (২:১৭৬)
কে সে, যে আল্লাহ্কে করযে হাসানা প্রদান করিবে? তিনি তাহার জন্য ইহা বহুগুণে বৃদ্ধি করিবেন। আর আল্লাহ্ সংকুচিত ও সম্প্রসারিত করেন এবং তাঁহার পানেই তোমরা প্রত্যানীত হইবে। (২:২৪৫)
এই সকল আল্লাহ্র আয়াত, আমি তোমার নিকট উহা যথাযথভাবে তিলাওয়াত করিতেছি, আর নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত। (২:২৫২)
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। (৩:২)
তিনি সত্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন, যাহা উহার পূর্বের কিতাবের সমর্থক। আর তিনি অবতীর্ণ করিয়াছেন তাওরাত ও ইনজীল- (৩:৩)
‘এবং তিনি তাহাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইন্জীল। (৩:৪৮)
‘এবং তাহাকে বনী ইসরাঈলের জন্য রাসূল করিবেন।’ সে বলিবে, ‘আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে তোমাদের নিকট নিদর্শন লইয়া আসিয়াছি। আমি তোমাদের জন্য কর্দম দ্বারা একটি পক্ষীসদৃশ আকৃতি গঠন করিব; অতঃপর ইহাতে আমি ফুৎকার দিব; ফলে আল্লাহ্র হুকুমে উহা পাখি হইয়া যাইবে। আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে নিরাময় করিব এবং আল্লাহ্র হুকুমে মৃতকে জীবন্ত করিব। তোমরা তোমাদের গৃহে যাহা আহার কর ও মওজুদ কর তাহা তোমাদেরকে বলিয়া দিব। তোমরা যদি মু’মিন হও তবে ইহাতে তোমাদের জন্য নিদর্শন রহিয়াছে। (৩:৪৯)
‘আর আমি আসিয়াছি আমার সম্মুখে তাওরাতে যাহা রহিয়াছে উহার সমর্থকরূপে ও তোমাদের জন্য যাহা নিষিদ্ধ ছিল উহার কতকগুলিকে বৈধ করিতে। এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে তোমাদের নিকট নিদর্শন লইয়া আসিয়াছি। সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর। (৩:৫০)
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক, সুতরাং তোমরা তাঁহার ‘ইবাদত করিবে। ইহাই সরল পথ।’ (৩:৫১)
যখন ‘ঈসা তাহাদের অবিশ্বাস উপলব্ধি করিল তখন সে বলিল, ‘আল্লাহ্র পথে কাহারা আমার সাহায্যকারী?’ হাওয়ারীগণ বলিল, ‘আমরাই আল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহে্ ঈমান আনিয়াছি। আমরা আত্মসমপর্ণ-কারী, তুমি ইহার সাক্ষী থাক। (৩:৫২)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছ তাহাতে আমরা ঈমান আনিয়াছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করিয়াছি। সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদান-কারীদের তালিকাভুক্ত কর।’ (৩:৫৩)
আর তাহারা চক্রান্ত করিয়াছিল আল্লাহ্ও কৌশল করিয়াছিলেন; আল্লাহ্ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ। (৩:৫৪)
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ বলিবেন, ‘হে ‘ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করিতেছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলিয়া লইতেছি এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের মধ্য হইতে তোমাকে পবিত্র করিতেছি। আর তোমার অনুসারিগণকে কিয়ামত পর্যন্ত কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিতেছি, অতঃপর আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন।’ তারপর যে বিষয়ে তোমাদের মতান্তর ঘটিতেছে আমি উহা মীমাংসা করিয়া দিব। (৩:৫৫)
যাহারা কুফরী করিয়াছে আমি তাহাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর শাস্তি প্রদান করিব এবং তাহাদের কোন সাহায্যকারী নাই। (৩:৫৬)
আর যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং সৎকাজ করিয়াছে তিনি তাহাদের প্রতিফল পুরাপুরিভাবে প্রদান করিবেন। আল্লাহ্ জালিমদের পসন্দ করেন না। (৩:৫৭)
ইহা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করিতেছি আয়াতসমূহ ও সারগর্ভ বাণী হইতে। (৩:৫৮)
আল্লাহ্র নিকট নিশ্চয়ই ‘ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের দৃষ্টান্তসদৃশ। তিনি তাহাকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্ট করিয়াছেন; অতঃপর উহাকে বলিলেন ‘হও’, ফলে সে হইয়া গেল। (৩:৫৯)
বল, ‘আমরা আল্লাহ্তে এবং আমাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া‘কূব ও তাহার বংশধরগণের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছিল এবং যাহা মূসা, ‘ঈসা ও অন্যান্য নবীকে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে যাহা প্রদান করা হইয়াছে তাহাতে ঈমান আনিয়াছি, আমরা তাহাদের মধ্যে কোন তারতম্য করি না এবং আমরা তাঁহারই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’ (৩:৮৪)
এইগুলি আল্লাহ্র আয়াত, তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করিতেছি। আল্লাহ্ বিশ্বজগতের প্রতি জুলুম করিতে চান না। (৩:১০৮)
আমি তো তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি আল্লাহ্ তোমাকে যাহা জানাইয়াছেন সেই অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার মীমাংসা কর এবং তুমি বিশ্বাসভঙ্গকারীদের সমর্থনে তর্ক করিও না। (৪:১০৫)
হে মানবমন্ডলী! রাসূল তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে সত্য আনিয়াছে; সুতরাং তোমারা ঈমান আন, ইহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হইবে। তোমরা অস্বীকার করিলেও আসমান ও যমীনে যাহা আছে সব আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৪:১৭০)
বল, ‘তবে কি আমি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে সালিস মানিব-যদিও তিনিই তোমাদের প্রতি সু্স্পষ্ট কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন!’ আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছি তাহারা জানে যে, উহা তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে সত্যসহ অবতীর্ণ হইয়াছে। সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (৬:১১৪)
সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়া তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহ নাই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৬:১১৫)
অতঃপর যখন উহাদের নিকট আমার নিকট হইতে সত্য আসিল তখন উহারা বলিল, ‘ইহা তো নিশ্চয়ই স্পষ্ট জাদু।’ (১০:৭৬)
আমি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি উহাতে যদি তুমি সন্দেহে থাক তবে তোমার পূর্বের কিতাব যাহারা পাঠ করে তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর; তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার নিকট সত্য অবশ্যই আসিয়াছে। তুমি কখনও সন্দিগ্ধচিত্তদের অন্তর্ভুক্ত হইও না, (১০:৯৪)
বল, ‘হে মানুষ! তোমরা যদি আমার দীনের প্রতি সংশয়যুক্ত হও তবে জানিয়া রাখ, তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহাদের ‘ইবাদত কর আমি উহাদের ‘ইবাদত করি না। পরন্তু আমি ‘ইবাদত করি আল্লাহ্র যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং আমি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হইবার জন্য আদিষ্ট হইয়াছি, (১০:১০৪)
তাহারা কি উহাদের সমতুল্য যাহারা প্রতিষ্ঠিত উহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণের উপর, যাহার অনুসরণ করে তাঁহার প্রেরিত সাক্ষী এবং যাহার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ? উহারাই ইহাতে বিশ্বাসী। অন্যান্য দলের যাহারা ইহাকে অস্বীকার করে, দোযখই তাহাদের প্রতিশ্রুত স্থান।
সুতরাং তুমি ইহাতে সন্দিগ্ধ হইও না। ইহা তো তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না। (১১:১৭)
রাসূলদের ঐ সকল বৃত্তান্ত আমি তোমার নিকট বর্ণনা করিতেছি, যদ্দ্বারা আমি তোমার চিত্তকে দৃঢ় করি, ইহার মাধ্যমে তোমার নিকট আসিয়াছে সত্য এবং মু’মিনদের জন্য আসিয়াছে উপদেশ ও সাবধানবাণী। (১১:১২০)
আলিফ্-লাম-মীম্-রা, এইগুলি কুরআনের আয়াত, যাহা তোমার প্রতিপালক হইতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ইহাতে ঈমান আনে না। (১৩:১)
তোমার প্রতিপালক ইহাতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যে ব্যক্তি সত্য বলিয়া জানে আর যে অন্ধ তাহারা কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকশক্তিসম্পন্নগণই, (১৩:১৯)
বল, ‘তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে রুহুল-কুদুস জিব্রাঈল সত্যসহ কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছে, যাহারা মু’মিন তাহাদেরকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য এবং হিদায়াত ও সুসংবাদস্বরূপ মুসলিমদের জন্য।’ (১৬:১০২)
এবং বল, ‘সত্য আসিয়াছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়াছে;’ মিথ্যা তো বিলুপ্ত হইবারই। (১৭:৮১)
আমি সত্যসহই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং উহা সত্যসহই অবতীর্ণ হইয়াছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। (১৭:১০৫)
বল, ‘সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে; সুতরাং যাহার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যাহার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক।’ নিশ্চয়ই আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি অগ্নি, যাহার বেষ্টনী উহাদেরকে পরিবেষ্টন করিয়া থাকিবে। উহারা পানীয় চাহিলে উহাদেরকে দেওয়া হইবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যাহা উহাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করিবে; ইহা নিকৃষ্ট পানীয়। আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট আশ্রয়। (১৮:২৯)
এবং এইজন্যও যে, যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহারা যেন জানিতে পারে যে, ইহা তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে প্রেরিত সত্য; অতঃপর তাহারা যেন উহাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাহাদের অন্তর যেন উহার প্রতি অনুগত হয়। যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদেরকে অবশ্যই আল্লাহ্ সরল পথে পরিচালিত করেন। (২২:৫৪)
অথবা উহারা কি বলে যে, সে উন্মাদনাগ্রস্ত, বস্তুত সে উহাদের নিকট সত্য আনিয়াছে এবং উহাদের অধিকাংশ সত্যকে অপসন্দ করে। (২৩:৭০)
বরং আমি তো উহাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছি; কিন্তু উহারা তো নিশ্চিত মিথ্যাবাদী। (২৩:৯০)
মূসাকে যখন আমি আহ্বান করিয়াছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতপার্শ্বে উপস্থিত ছিলে না। বস্তুত ইহা তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে দয়াস্বরূপ, যাহাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করিতে পার, যাহাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসে নাই, যেন উহারা উপদেশ গ্রহণ করে; (২৮:৪৬)
অতঃপর যখন আমার নিকট হইতে উহাদের নিকট সত্য আসিল, উহারা বলিতে লাগিল, ‘মূসাকে যেরূপ দেওয়া হইয়াছিল, তাহাকে সেরূপ দেওয়া হইল না কেন?’ কিন্তু পূর্বে মূসাকে যাহা দেওয়া হইয়াছিল তাহা কি উহারা অস্বীকার করে নাই? উহারা বলিয়াছিল, ‘দুইটিই জাদু, একে অপরকে সমর্থন করে।’ এবং উহারা বলিয়াছিল, ‘আমরা সকলকেই প্রত্যাখ্যান করি।’ (২৮:৪৮)
বল, ‘তোমরা সত্যবাদী হইলে আল্লাহ্র নিকট হইতে এক কিতাব আনয়ন কর, যাহা পথনির্দেশ এতদুভয় হইতে উৎকৃষ্টতর হইবে; আমি সে কিতাব অনুসরণ করিব।’ (২৮:৪৯)
অতঃপর উহারা যদি তোমার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহা হইলে জানিবে উহারা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। আল্লাহ্র পথনির্দেশ অগ্রাহ্য করিয়া যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে তাহা অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। (২৮:৫০)
আমি তো উহাদের নিকট পরপর বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছি; যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে। (২৮:৫১)
ইহার পূর্বে আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছিলাম, তাহারা ইহাতে বিশ্বাস করে। (২৮:৫২)
যখন উহাদের নিকট ইহা আবৃত্তি করা হয় তখন উহারা বলে, ‘আমরা ইহাতে ঈমান আনি, নিশ্চয়ই ইহা আমাদের প্রতিপালক হইতে আগত সত্য। আমরা তো পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম; (২৮:৫৩)
যিনি তোমার জন্য কুরআনকে করিয়াছেন বিধান তিনি তোমাকে অবশ্যই ফিরাইয়া আনিবেন জন্মভূমিতে। বল, ‘আমার প্রতিপালক ভাল জানেন কে সৎপথের নির্দেশ আনিয়াছে এবং কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।’ (২৮:৮৫)
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁহার নিকট হইতে আগত সত্যকে অস্বীকার করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? জাহান্নামই কি কাফিরদের আবাস নয়? (২৯:৬৮)
তবে কি উহারা বলে, ‘ইহা সে নিজে রচনা করিয়াছে?’ না, ইহা তোমার প্রতিপালক হইতে আগত সত্য, যাহাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করিতে পার, যাহাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসে নাই, হয়ত উহারা সৎপথে চলিবে। (৩২:৩)
যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহারা জানে যে, তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; ইহা পরাক্রমশালী প্রশংসার্হ আল্লাহ্র পথনির্দেশ করে। (৩৪:৬)
উহাদের সম্বন্ধে ইব্লীস তাহার ধারণা সত্য প্রমাণ করিল, ফলে উহাদের মধ্যে একটি মু’মিন দল ব্যতীত সকলেই তাহার অনুসরণ করিল; (৩৪:২০)
আমি তোমার প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি তাহা সত্য, ইহা পূর্ববর্তী কিতাবের প্রত্যায়নকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের সমস্ত কিছু জানেন ও দেখেন। (৩৫:৩১)
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসিবার পর উহা অস্বীকার করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? কাফিরদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয়? (৩৯:৩২)
Who, then, does more wrong than one who utters a lie concerning Allah, and rejects the যাহারা সত্য আনিয়াছে এবং যাহারা সত্যকে সত্য বলিয়া মানিয়াছে তাহারাই তো মুত্তাকী। (৩৯:৩৩)
ইহাদের বাঞ্ছিত সমস্ত কিছুই আছে ইহাদের প্রতিপালকের নিকট। ইহাই সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার। (৩৯:৩৪)
আল্লাহ্ই অবতীর্ণ করিয়াছেন সত্যসহ কিতাব এবং তুলাদন্ড। তুমি কি জান, সম্ভবত কিয়ামত আসন্ন? (৪২:১৭)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যবিমুখ।’ (৪৩:৭৮)
উহারা বলিয়াছিল, ‘হে আমাদের সম্পদ্রায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবণ করিয়াছি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে মূসার পরে, ইহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। (৪৬:৩০)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। (৪৭:৩)