আমি তো মানুষের জন্য এই কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়াছি। তুমি যদি উহাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর, কাফিররা অবশ্যই বলিবে, ‘তোমরা তো মিথ্যাশ্রয়ী।’ (৩০:৫৮)
যাহাদের জ্ঞান নাই আল্লাহ্ এইভাবে তাহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দেন। (৩০:৫৯)
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। যাহারা দৃঢ় বিশ্বাসী নয় তাহারা যেন তোমাকে বিচলিত করিতে না পারে। (৩০:৬০)
আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করিয়াছি, যাহারা উহারা উপদেশ গ্রহণ করে, (৩৯:২৭)
আরবী ভাষায় এই কুরআন বক্রতামুক্ত, যাহাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে। (৩৯:২৮)
আল্লাহ্ একটি দৃষ্টান্ত পেশ করিতেছেন: এক ব্যক্তির প্রভু অনেক, যাহারা পরস্পর বিরুদ্ধভাবাপন্ন এবং আর এক ব্যক্তির প্রভু কেবল একজন; এই দুইজনের অবস্থা কি সমান? প্রশংসা আল্লাহ্রই প্রাপ্য; কিন্তু উহাদের অধিকাংশই ইহা জানে না। (৩৯:২৯)
তুমি তো মরণশীল এবং উহারাও মরণশীল। (৩৯:৩০)
অতঃপর কিয়ামত দিবসে তোমরা তো পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাকবিতন্ডা করিবে। (৩৯:৩১)
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসিবার পর উহা অস্বীকার করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? কাফিরদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয়? (৩৯:৩২)
যাহারা সত্য আনিয়াছে এবং যাহারা সত্যকে সত্য বলিয়া মানিয়াছে তাহারাই তো মুত্তাকী। (৩৯:৩৩)
ইহাদের বাঞ্ছিত সমস্ত কিছুই আছে ইহাদের প্রতিপালকের নিকট। ইহাই সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার। (৩৯:৩৪)
যাহাতে ইহারা যেসব মন্দ কর্ম করিয়াছিল আল্লাহ্ তাহা ক্ষমা করিয়া দেন এবং ইহাদেরকে ইহাদের সৎকর্মের জন্য পুরস্কৃত করেন। (৩৯:৩৫)
তুমি যদি ইহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করিয়াছেন? উহারা অবশ্যই বলিবে, ‘আল্লাহ্।’ বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, আল্লাহ্ আমার অনিষ্ট চাহিলে তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক তাহারা কি সেই অনিষ্ট দূর করিতে পারিবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করিতে চাহিলে তাহারা কি সেই অনুগ্রহকে রোধ করিত পারিবে?’ বল, ‘আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট।’ নির্ভরকারীগণ আল্লাহ্রই উপর নির্ভর করে। (৩৯:৩৮)