আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তোমরা তাহাতে ঈমান আন। ইহা তোমাদের নিকট যাহা আছে উহার প্রত্যায়নকারী। আর তোমরাই উহার প্রথম প্রত্যাখ্যানকারী হইও না এবং আমার আয়াতের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করিও না। তোমরা শুধু আমাকে ভয় কর। (২:৪১)
সুতরাং দুর্ভোগ তাহাদের জন্য যাহারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে।’ তাহাদের হাত যাহা রচনা করিয়াছে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের এবং যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের। (২:৭৯)
আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহারা তাহা গোপন রাখে ও বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে তাহারা নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতীত আর কিছুই পুরে না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাহাদের সঙ্গে কথা বলিবেন না এবং তাহাদেরকে পবিত্র করিবেন না। তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। (২:১৭৪)
তাহারাই সৎপথের বিনিময়ে ভ্রান্ত পথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে; আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতই না ধৈর্যশীল! (২:১৭৫)
স্মরণ কর, যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল আল্লাহ্ তাহাদের প্রতিশ্রুতি লইয়াছিলেন: ‘তোমরা উহা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করিবে এবং উহা গোপন করিবে না।’ ইহার পরও তাহারা উহা অগ্রাহ্য করে ও তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে; সুতরাং তাহারা যাহা ক্রয় করে তাহা কত নিকৃষ্ট! (৩:১৮৭)
যাহারা নিজেরা যাহা করিয়াছে তাহাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যাহা নিজেরা করে নাই এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হইতে ভালবাসে, তাহারা শাস্তি হইতে মুক্তি পাইবে-এইরূপ তুমি কখনও মনে করিও না। তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। (৩:১৮৮)
নিশ্চয়ই আমি তাওরাত অবতীর্ণ করিয়াছিলাম; উহাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো; নবীগণ, যাহারা আল্লাহ্র অনুগত ছিল তাহারা ইয়াহূদীদেরকে তদনুসারে বিধান দিত, আরও বিধান দিত রাব্বানীগণ এবং বিদ্বানগণ; কারণ তাহাদেরকে আল্লাহ্র কিতাবের রক্ষক করা হইয়াছিল এবং তাহারা ছিল উহার সাক্ষী। সুতরাং মানুষকে ভয় করিও না, আমাকেই ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করিও না। আল্লাহ্ যাহা অবর্তীর্ণ করিয়াছেন তদনুসারে যাহারা বিধান দেয় না, তাহারাই কাফির। (৫:৪৪)
‘হে আমার সম্প্রদায়! ইহার পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধনসম্পদ যাচ্ঞা করি না। আমার পারিশ্রমিক তো আল্লাহ্রই নিকট এবং মু’মিনদেরকে তাড়াইয়া দেওয়া আমার কাজ নয়; তাহারা নিশ্চিতভাবে তাহাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভ করিবে। কিন্তু আমি তো দেখিতেছি তোমরা এক অজ্ঞ সম্প্রদায়। (১১:২৯)
‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি ইহার পরিবর্তে তোমাদের নিকট পারিশ্রমিক যাচ্ঞা করি না। আমার পারিশ্রমিক আছে তাঁহারই নিকট, যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা কি তবুও অনুধাবন করিবে না? (১১:৫১)
অথবা তুমি কি উহাদের নিকট কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (২৩:৭২)
বল, ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তাহার প্রতিপালকের দিকের পথ অবলম্বন করুক।’ (২৫:৫৭)
‘অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত। (৩৬:২১)
বল, ‘আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না এবং যাহারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত নই।’ (৩৮:৮৬)
ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র। (৩৮:৮৭)
এই সুসংবাদই আল্লাহ্ দেন তাঁহার বান্দাদেরকে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি ইহার বিনিময়ে তোমাদের নিকট ইহতে আত্মীয়ের সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান চাই না।’ যে উত্তম কাজ করে আমি তাহার জন্য ইহাতে কল্যাণ বর্ধিত করি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (৪২:২৩)