ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশ, (২:২)
আমি আমার বান্দার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরূপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের সকল সহায্যকারীকে আহ্বান কর। (২:২৩)
যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই করিতে পারিবে না, তবে সেই আগুনকে ভয় কর, মানুষ ও পাথর হইবে যাহার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত করিয়া রাখা হইয়াছে। (২:২৪)
বল, ‘যে কেহ জিব্রীলের শত্রু এইজন্য যে, সে আল্লাহ্র নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কুরআন পৌঁছাইয়া দিয়াছে, যাহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং যাহা মু’মিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ’ (২:৯৭)
সমস্ত মানুষ ছিল একই উম্মত। অতঃপর আল্লাহ্ নবীগণকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেন। মানুষেরা যে বিষয়ে মতভেদ করিত তাহাদের মধ্যে সে বিষয়ে মীমাংসার জন্য তিনি তাহাদের সঙ্গে সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেন এবং তাহারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত সেই বিষয়ে বিরোধিতা করিত। যাহারা বিশ্বাস করে, তাহারা যে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করিত, আল্লাহ্ তাহাদেরকে সে বিষয়ে নিজ অনুগ্রহে সত্যপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। (২:২১৩)
লোকে তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু উহাদের পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।’ লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী তাহারা ব্যয় করিবে? বল, ‘যাহা উদ্বৃত্ত।’ এইভাবে আল্লাহ্ তাঁহার বিধান তোমাদের জন্য সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তোমরা চিন্তা কর- (২:২১৯)
তবে কি তাহারা কুরআন সম্বন্ধে অনুধাবন করে না? ইহা যদি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে আসিত তবে তাহারা উহাতে অনেক অসংগতি পাইত। (৪:৮২)
তোমাদের জন্য হারাম করা হইয়াছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-মাংস, আল্লাহ্ ব্যতীত অপরের নামে যবেহ্কৃত পশু আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু; তবে যাহা তোমরা যবেহ্ করিতে পারিয়াছ তাহা ব্যতীত, আর যাহা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেওয়া হয় তাহা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা এই সব পাপকাজ। আজ কাফিররা তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হইয়াছে; সুতরাং তাহাদেরকে ভয় করিও না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাংগ করিলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করিলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকিয়া ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হইলে তখন আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫:৩)
সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়া তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহ নাই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৬:১১৫)
যদি তোমরা তাহাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাহাকে সাহায্য করিয়াছিলেন যখন কাফিররা তাহাকে বহিষ্কার করিয়াছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তাহারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল; সে তখন তাহার সঙ্গীকে বলিয়াছিল, ‘বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ অতঃপর আল্লাহ্ তাঁহার উপর তাঁহার প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাহাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দ্বারা যাহা তোমরা দেখ নাই; এবং তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহ্র কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৯:৪০)
এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধানসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০:৩৭)
তাহারা কি বলে, ‘সে ইহা রচনা করিয়াছে?’ বল, ‘তবে তোমরা ইহার অনুরূপ একটি সূরা আনয়ন কর এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অপর যাহাকে পার আহ্বান কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (১০:৩৮)
তাহারা কি বলে, ‘সে ইহা নিজে রচনা করিয়াছে?’ বল, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমরা ইহার অনুরূপ দশটি স্বরচিত সূরা আনয়ন কর এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অপর যাহাকে পার, ডাকিয়া নাও।’ (১১:১৩)
যাহারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাহাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আল্লাহ্ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখিবেন এবং যাহারা জালিম আল্লাহ্ উহাদেরকে বিভ্রান্তিতে রাখিবেন। আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। (১৪:২৭)
আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক। (১৫:৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন হিদায়াত করে সেই পথের দিকে যাহা সুদৃঢ় এবং সৎকর্মপরায়ণ মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে মহাপুরস্কার। (১৭:৯)
বল, ‘যদি কুরআনের অনুরূপ কুরআন আনয়নের জন্য মানুষ ও জিন সমবেত হয় এবং যদিও তাহারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তাহারা ইহার অনুরূপ আনয়ন করিতে পারিবে না। (১৭:৮৮)
আমি সত্যসহই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং উহা সত্যসহই অবতীর্ণ হইয়াছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। (১৭:১০৫)
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই যিনি তাঁহার বান্দার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং উহাতে তিনি বক্রতা রাখেন নাই; (১৮:১)
ইহাকে করিয়াছেন সুপ্রতিষ্ঠিত তাঁহার কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করিবার জন্য, এবং মু’মিনগণ, যাহারা সৎকর্ম করে, তাহাদেরকে এই সুসংবাদ দিবার জন্য যে, তাহাদের জন্য আছে উত্তম পুরস্কার, (১৮:২)
তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব হইতে পাঠ করিয়া শোনাও। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহই নাই। তুমি কখনই তাঁহাকে ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয় পাইবে না। (১৮:২৭)
তবে কি উহারা এই বাণী অনুধাবন করে না? অথবা উহাদের নিকট এমন কিছু আসিয়াছে যাহা উহাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসে নাই? (২৩:৬৮)
কত মহান তিনি যিনি তাঁহার বান্দার প্রতি ফুরকান অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে! (২৫:১)
যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নাই; সার্বভৌমত্বে তাঁহার কোন শরীক নাই। তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিয়াছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করিয়াছেন যথাযথ অনুপাতে। (২৫:২)
আর তাহারা তাঁহার পরিবর্তে ইলাহ্রূপে গ্রহণ করিয়াছে অন্যদেরকে, যাহারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং উহারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং উহারা নিজেদের অপকার অথবা উপকার করিবার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও উত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। (২৫:৩)
কাফিররা বলে, ‘ইহা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, সে ইহা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাহাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করিয়াছে।’ এইরূপে উহারা অবশ্যই জুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হইয়াছে। (২৫:৪)
উহারা বলে, ‘এইগুলি তো সেকালের উপকথা, যাহা সে লিখাইয়া লইয়াছে; এইগুলি সকাল-সন্ধ্যা তাহার নিকট পাঠ করা হয়।’ (২৫:৫)
বল, ‘ইহা তিনিই অবতীর্ণ করিয়াছেন যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সমুদয় রহস্য অবগত আছেন; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (২৫:৬)
যখন মূসা আগুনের নিকট পৌঁছিল তখন উপত্যকার দক্ষিণ পার্শ্বে পবিত্র ভূমিস্থিত এক বৃক্ষের দিক হইতে তাহাকে আহ্বান করিয়া বলা হইল, ‘হে মূসা! আমিই আল্লাহ্, জগতসমূহের প্রতিপালক;’ (২৮:৩০)
আরও বলা হইল, ‘তুমি তোমার যষ্টি নিক্ষেপ কর।’ অতঃপর, যখন সে উহাকে সর্পের ন্যায় ছুটাছুটি করিতে দেখিল তখন পিছনের দিকে ছুটিতে লাগিল এবং ফিরিয়া তাকাইল না। তাহাকে বলা হইল, ‘হে মূসা! সম্মুখে আইস, ভয় করিও না; তুমি তো নিরাপদ। (২৮:৩১)
‘তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, ইহা বাহির হইয়া আসিবে শুভ্র-সমুজ্জ্বল নির্দোষ হইয়া। ভয় দূর করিবার জন্য তোমার হস্তদ্বয় নিজের দিকে চাপিয়া ধর। এই দুইটি তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত প্রমাণ, ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের জন্য। উহারা তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়। (২৮:৩২)
মূসা বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তো উহাদের একজনকে হত্যা করিয়াছি। ফলে আমি আশংকা করিতেছি উহারা আমাকে হত্যা করিবে। (২৮:৩৩)
আমি তো উহাদের নিকট পরপর বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছি; যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে। (২৮:৫১)
আমি তো মানুষের জন্য এই কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়াছি। তুমি যদি উহাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর, কাফিররা অবশ্যই বলিবে, ‘তোমরা তো মিথ্যাশ্রয়ী।’ (৩০:৫৮)
এই কিতাব জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। (৩২:২)
এক কল্যাণময় কিতাব, ইহা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি, যাহাতে মানুষ ইহার আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ। (৩৮:২৯)
এই কিতাব অবতীর্ণ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্র নিকট হইতে। (৩৯:১)
আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করিয়াছি, যাহারা উহারা উপদেশ গ্রহণ করে, (৩৯:২৭)
আরবী ভাষায় এই কুরআন বক্রতামুক্ত, যাহাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে। (৩৯:২৮)
ইহা দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৪১:২)
এক কিতাব, বিশদভাবে বিবৃত হইয়াছে ইহার আয়াতসমূহ, আরবী ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য, (৪১:৩)
কোন মিথ্যা ইহাতে অনুপ্রবেশ করিতে পারে না-অগ্র হইতেও নয়, পশ্চাৎ হইতেও নয়। ইহা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসার্হ আল্লাহ্র নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৪১:৪২)
বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, যদি এই কুরআন আল্লাহ্র নিকট হইতে অবতীর্ণ হইয়া থাকে আর তোমরা ইহা প্রত্যাখ্যান কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত আছে, তাহার অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে?’ (৪১:৫২)
আমি উহাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করিব, বিশ্বজগতে এবং উহাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে উহাদের নিকট সুস্পষ্ট হইয়া উঠিবে যে, উহাই সত্য। ইহা কি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সর্ববিষয়ে অবহিত? (৪১:৫৩)
তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন-উহার মীমাংসা তো আল্লাহ্রই নিকট। তিনিই আল্লাহ্-আমার প্রতিপালক; তাঁহারই উপর আমি নির্ভর করি আর তাঁহারই অভিমুখী আমি। (৪২:১০)
এই কিতাব পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্র নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৪৫:২)
হা-মীম। (৪৬:১)
মু’মিনদের দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইলে তোমরা তাহাদের মধ্যে মীমাংসা করিয়া দিবে; আর তাহাদের একদল অপর দলের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করিলে, যাহারা বাড়াবাড়ি করে তাহাদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করিবে, যতক্ষণ না তাহারা আল্লাহ্র নির্দেশের দিকে ফিরিয়া আসে-যদি তাহারা ফিরিয়া আসে তাহাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে ফয়সালা করিবে এবং সুবিচার করিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। (৪৯:৯)
কুরআন আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:১৭)
কুরআন আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:২২)
আমি কুরআন সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:৩২)
আমি কুরআন সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:৪০)
নিশ্চয়ই ইহা সম্মানিত কুরআন, (৫৬:৭৭)
যাহা আছে সুরক্ষিত কিতাবে। (৫৬:৭৮)
যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না। (৫৬:৭৯)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৫৬:৮০)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
অবশ্যই ইহা নিশ্চিত সত্য। (৬৯:৫১)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করিবার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা উহার সঙ্গে সঞ্চালন করিও না। (৭৫:১৬)
ইহা সংরক্ষন ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৭)
সুতরাং যখন আমি উহা পাঠ করি তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর, (৭৫:১৮)
অতঃপর ইহার বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৯)
না, তোমরা প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবনকে ভালবাস; (৭৫:২০)
এবং আখিরাতকে উপেক্ষা কর। (৭৫:২১)
সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হইবে, (৭৫:২২)
তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের দিকে তাকাইয়া থাকিবে। (৭৫:২৩)
কোন কোন মুখমন্ডল হইয়া পড়িবে বিবর্ণ, (৭৫:২৪)
আশংকা করিবে যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাহাদের উপর আপতিত হইবে। (৭৫:২৫)
কখনো নয়, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হইবে, (৭৫:২৬)
এবং বলা হইবে, ‘কে তাহাকে রক্ষা করিবে?’ (৭৫:২৭)
তখন তাহার প্রত্যয় হইবে যে, ইহা বিদায়ক্ষণ। (৭৫:২৮)
এবং পায়ের সঙ্গে পা জড়াইয়া যাইবে। (৭৫:২৯)